বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারীর অধিকার (নবম অধ্যায়)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - | NCTB BOOK
90
90

অধিকার হলো সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত কতগুলো সুযোগ-সুবিধা যা ভোগের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। অধিকার ব্যতীত মানুষ তার ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করতে পারে না। অধিকারের মূল লক্ষ্য ব্যক্তির সর্বজনীন কল্যাণ সাধন। নাগরিকদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য অধিকার ভোগ করার নিশ্চয়তা দান আধুনিক রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অধিকার বলতে প্রথমত মানবাধিকারকেই বোঝানো হয়ে থাকে। মানুষের সব ধরনের অধিকারের কথা মানবাধিকার সনদে লেখা থাকে। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালে মানবাধিকার সনদ প্রকাশ করে। এই অধ্যায়ে বাংলাদেশের প্রবীণ ব্যক্তির অধিকারসহ নারী অধিকারের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

১. প্রবীণ অধিকারের ধারণা ও অধিকারসমূহ ব্যাখ্যা করতে পারব;
২. প্রবীণদের সমস্যাসমূহ বর্ণনা করতে পারব;
৩. বাংলাদেশে প্রবীণদের কল্যাণমূলক কর্মসূচি বর্ণনা করতে পারব;
8. বাংলাদেশে নারী অধিকারের ধারণাটি ব্যাখ্যা করতে পারব;
৫. সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে পারব;
৬. বাংলাদেশে নারী অধিকারের গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারব;
৭. বাংলাদেশে নারীর অধিকারসমূহ বর্ণনা করতে পারব;
৮. বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুপারিশ বা পদক্ষেপসমূহ চিহ্নিত করতে পারব।

common.content_added_by

প্রবীণ অধিকারের ধারণা ও প্রবীণদের অধিকারসমূহ (পাঠ ১)

80
80

আমাদের দেশে সাধারণত ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষকে প্রবীণ বলে গণ্য করা হয়। কারণ ঐ বয়সের পর মানুষ দৈনন্দিন জীবিকা উপার্জনের কাজ থেকে অবসর নেয়। বাংলাদেশে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। তবে বিচারপতিদের জন্য ৬৭ বছর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোনো কোনো পেশাজীবীদের জন্য বয়সের এই সীমা সম্প্রতি ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও ৬০ বা ৬৫ বছর বয়সের পর একজন মানুষকে প্রবীণ বা 'সিনিয়র সিটিজেন' হিসেবে গণ্য করা হয়। সমাজে তাঁদেরকে বিশেষ সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। জাতিসংঘ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় কতিপয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও জাতিসংঘ প্রবীণদের অধিকার ও তাঁদের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে একটি বিশেষ দিনকে 'প্রবীণ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে।

প্রবীণদের অধিকারসমূহ

প্রবীণদের স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট যেসব অধিকার রয়েছে তা হলো-

  • পর্যাপ্ত খাদ্য, পানীয়, আশ্রয়, পরিধানের বস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার।
  • কাজ করার অথবা অন্য কোনোভাবে আয়-উপার্জন করার অধিকার।
  • কখন কোন পর্যায়ে কায়িক শ্রম থেকে অবসর নিবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার।
  • নিজেদের পছন্দ ও খাপ খাইয়ে চলার ক্ষমতা অনুসারে নিরাপদ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশে বাস করার অধিকার।
  • যথাযোগ্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের অধিকার।
  • যত দীর্ঘ সময় সম্ভব পরিবারের সাথে বাড়িতে থাকার অধিকার।

অংশগ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধিকার

সকল কাজে প্রবীণদের অংশগ্রহণ করার অধিকারগুলো হলো-

  • বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের অধিকার।
  • স্বাস্থ্য ও সাধ্য অনুযায়ী সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণের অধিকার।
  • সংগঠন গড়ে তোলা এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণের অধিকার।

পরিচর্যা সংশ্লিষ্ট অধিকার

প্রবীণদের পরিচর্যা সংশ্লিষ্ট কতোগুলো অধিকার রয়েছে। এ অধিকারগুলো হলো-

  • পরিবার ও সমাজের সেবাযত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা পাওয়ার অধিকার।
  • দৈহিক, মানসিক ও আবেগীয় ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা পাবার অধিকার।
  • নিজস্ব স্বকীয়তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সেবাযত্নের নিশ্চয়তা বিধানে সামাজিক ও আইনগত সেবার অধিকার।
  • মানবীয় ও নিরাপত্তামূলক পরিবেশে থাকা, পুনর্বাসন এবং সামাজিক ও মানসিক আনন্দ প্রকাশ করার পর্যায়ে সেবাযত্নের ব্যবহার পাওয়ার অধিকার।
  • যারা আশ্রয়, পরিচর্যা বা চিকিৎসা কেন্দ্রে থাকে সেখানে থাকাকালীন তাদের মর্যাদা, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাসহ মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ভোগের অধিকার।
  • আশ্রয়, পরিচর্যা বা চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যসেবা ও জীবন মান উন্নয়নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার ।

উপরিউক্ত অধিকার ছাড়াও প্রবীণদের আরও কতগুলো অধিকার রয়েছে। এ অধিকারগুলো প্রবীণদের নিজেদের উন্নয়ন মর্যাদা সংশ্লিষ্ট।

  • নিজেদের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির অধিকার।
  • শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক, চিত্তবিনোদন এবং সম্পত্তি ভোগের অধিকার।
  • শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হতে মুক্ত থেকে সুন্দর পরিবেশে বসবাসের অধিকার ।
  • বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম ও জাতিগত সংস্কৃতি অথবা মর্যাদা নির্বিশেষে সুন্দর আচরণ পাওয়ার অধিকার।
  • অর্থনৈতিক অবদানের জন্য মূল্য ও মর্যাদা পাবার অধিকার।
কাজ-১: প্রবীণ কারা? প্রবীণদের কেন সম্মান করা উচিত?
কাজ-২: তোমার পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে প্রবীণরা পরিচর্যা সংশ্লিষ্ট কোন অধিকারগুলো ভোগ করে নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে চিহ্নিত কর।
common.content_added_and_updated_by

প্রবীণদের সমস্যা (পাঠ ২)

97
97

আমাদের সমাজে প্রবীণদের সাধারণত যেসব সমস্যার মোকাবেলা করতে হয় সেগুলো হলো:

(ক) পারিবারিক: আমাদের দেশে এক সময় পরিবারগুলো ছিল একান্নবর্তী। সে সময় পরিবারে প্রবীণদের এক ধরনের কর্তৃত্ব বা ভূমিকা ছিল। কিন্তু শিল্পায়ন, নগরায়ণ ও মানুষের অর্থনৈতিক জীবনধারার পরিবর্তনের ফলে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে গিয়ে ছোটো ছোটো পরিবারে পরিণত হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী ও নির্ভরশীল ছেলেমেয়ে নিয়ে গঠিত এই পরিবার ব্যবস্থায় বৃদ্ধ বাবা-মা বা শ্বশুর-শাশুড়ির স্থান থাকছে না। তাঁদের দেখাশুনা বা অসুখ-বিসুখে সেবাযত্নের লোকের অভাব ঘটছে। তাঁদেরকে সঙ্গ দেওয়ার বা তাঁদের সঙ্গে গল্পগুজব করার লোক থাকছে না। ফলে তাঁরা এক ধরনের নিঃসঙ্গ ও বিমর্ষ বোধ করছেন। অনেকক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কর্মজীবী হওয়ায় শিশুদের দেখাশুনা, স্কুলে পৌঁছানো, বাজারঘাট করা ও গৃহস্থালি কাজের দায়িত্বও পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের উপর পড়ে। বৃদ্ধ বয়সে অনেক সময়ই এ সব কাজ করা তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়। বৃদ্ধদের অনেক সময় পরিবারের বোঝা হিসেবে গণ্য করা হয়।

(খ) অর্থনৈতিক: নিজস্ব আয়-রোজগারের সুযোগ না থাকায় এবং সঞ্চিত অর্থ ও সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ প্রবীণই অর্থনৈতিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁদেরকে সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। নিজের ইচ্ছেমতো তাঁরা কিছুই করতে পারেন না। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র পরিবারের প্রবীণদের দুর্দশা এক্ষেত্রে বেশি হয়। বার্ধক্যে পৌঁছানোর আগেই সংসার চালাতে এবং সন্তানদের লেখাপড়া ও তাদের বিয়ের খরচ জোগাতে গিয়ে অনেকেই প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙনের ফলেও অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। এ অবস্থায় যথেষ্ট রোজগার বা সামর্থ্যের অভাবে ছেলেমেয়েদের পক্ষেও প্রবীণ বাবা-মার ভরণ-পোষণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ইচ্ছে থাকলেও তারা ঠিকমতো সেবাযত্ন করতে পারে না।

(গ) শারীরিক : প্রবীণ বয়সে মানুষের শারীরিক শক্তি কমে আসে। নানা রোগব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধে। এ সময় মানুষের একটু বিশ্রাম বা আরামের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক প্রবীণেরই এই আরামটুকু জোটে না। অসুস্থ অবস্থায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধাও তাঁরা পান না। রোগব্যাধিতে ঔষধপথ্য কেনার সামর্থ্য তাঁদের থাকে না।

(ঘ) সামাজিক-সাংস্কৃতিক : এক সময় আমাদের দেশে প্রবীণদের প্রতি যে ধরনের সম্মান দেখানো হতো বা তাদের মতামতকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হতো, আজ আর তা দেখা যায় না। এর পেছনে সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিক শিক্ষার অভাব, বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব, আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবের প্রসার ইত্যাদি অনেক কারণ কাজ করছে। কোনো কোনো পরিবারে ও সমাজে প্রবীণদের আজ প্রায় গৌণ বিবেচনা করা হয়। তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাঁদের পাশে একটু বসে দুটো কথা শোনার সময়ও যেন কারও নেই। অবসর যাপন বা চিত্তবিনোদনের সুযোগও তাঁদের নেই বললেই চলে।

(ঙ) মনস্তাত্ত্বিক: পরিবারে ও সমাজে প্রবীণদের কোণঠাসা অবস্থা তাঁদের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতার জন্ম দেয়। তাঁরা নিজেদেরকে খুব অবহেলিত ও অসহায় ভাবতে শুরু করেন। সামর্থ্যের অভাব এবং সেই সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতা ও নিঃসঙ্গতা এই হীনমন্যতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। প্রবীণ বয়সের স্মৃতিবিভ্রমও এক্ষেত্রে বাড়তি সমস্যা সৃষ্টি করে।

কাজ- ১: প্রবীণদের সমস্যাগুলো উল্লেখ কর।
কাজ- ২: তোমার পরিচিত কোনো প্রবীণ ব্যক্তি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন তার বিবরণ দাও।
common.content_added_by

বাংলাদেশে প্রবীণদের কল্যাণমূলক কার্যক্রম (পাঠ ৩)

84
84

বাংলাদেশের সংবিধানেও প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ দেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। বিশ্বের ৫০ টিরও বেশি দেশ রয়েছে সেগুলোর মোট জনসংখ্যা এর চেয়ে কম। আমাদের দেশে প্রবীণদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম রয়েছে।

বেসরকারি কার্যক্রম

বেসরকারিভাবে বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে।

  • প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান: এ প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা নগর, ঢাকাতে অবস্থিত। প্রবীণদের কল্যাণে এ প্রতিষ্ঠানটি যে সব ভূমিকা রাখে তা হলো- স্বাস্থ্য সেবা দান, পুনর্বাসন, চিত্তবিনোদন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রভৃতি। তাছাড়া এ প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের জন্য স্থাপন করেছে পাঠাগার।
  • বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতি : এ সমিতি প্রবীণদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা অনুদানসহ বিনাসুদে ঋণ প্রদান করে থাকে। প্রবীণদের কল্যাণে আরও কতিপয় প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা স্বাস্থ্য সংঘ, রোটারি ক্লাব, মা ও শিশু নিবাস, বৃদ্ধ নিবাস, ঝরাপাতা প্রভৃতি।

সরকারি কার্যক্রম

১. অবসর ভাতা: সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অবসর গ্রহণ বা মৃত্যুবরণ করলে পেনশন পেয়ে থাকেন। এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত সরকারি চাকরি করে অবসর গ্রহণ করলে অবসর সময়ের জন্য বিধি মোতাবেক যে ভাতা দেওয়া হয় তাকে পেনশন বা অবসর ভাতা বলে।

২ . বয়স্কভাতা কার্যক্রম: দেশব্যাপী প্রবীণদের কল্যাণে বিশেষত গ্রামীণ অসহায়, দুঃস্থ, অবহেলিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশের সকল ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সবচেয়ে অসহায় বয়োজ্যেষ্ঠ (সর্বনিম্ন বয়স মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬২ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর) ব্যক্তিদের প্রতিমাসে ৬০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়।

৩. বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান কার্যক্রম: দেশব্যাপী বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের কল্যাণে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এ ভাতার সুবিধা ভোগীদের অধিকাংশ বয়স্ক মহিলা।

এ ছাড়াও বর্তমান সরকার প্রবীণদের কল্যাণে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

কাজ- ১: বাংলাদেশে প্রবীণদের কল্যাণে কার্যক্রমগুলো চিহ্নিত কর।
কাজ- ২: প্রবীণ কল্যাণে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়, দলীয়ভাবে মতামত দাও।
common.content_added_and_updated_by

নারী অধিকারের ধারণা এবং বাংলাদেশের সমাজে নারীর অবস্থান অধিকার পরিস্থিতি (পাঠ ৪)

71
71

নারী অধিকারের ধারণা

আমরা সমাজে বাস করি। সমাজে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদের বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার। এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নাগরিকের জন্য এক ধরনের অধিকার। কাজেই নারী অধিকার হলো নারীর জন্য প্রদত্ত সেই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা, যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত। নারীর অধিকার মানবাধিকার। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানুষের এসব অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে অনুমোদন করেছে "মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র।” এই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ আর্থিক অবস্থাভেদে বিশ্বের সব দেশের সব মানুষের এসব অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা পূর্ববর্তী শ্রেণিতে এ অধিকারগুলো সম্বন্ধে জেনেছি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ অধিকার হলো, নারী-পুরুষের সমান অধিকার। নারীর জন্য বিভিন্ন ধরনের অধিকার সংরক্ষণ যেমন-শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে জাতিসংঘ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশের সংবিধানেও নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশের নারীরা কী অবস্থায় আছে তা জানা দরকার। আমাদের সমাজে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা বেশ কঠিন ব্যাপার নয়। আমরা যদি আমাদের অধিকারগুলো সম্পর্কে জানি তাহলে আমরা এ অধিকারগুলো ভোগ করতে পারব এবং নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে। বাস্তবে নারী-পুরুষ সমান অধিকার নিশ্চিত না হওয়ার প্রধান কারণ হলো নারী অধিকার সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা।

বাংলাদেশের সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার পরিস্থিতি

নানা দিক থেকেই বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে আছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেক অধিকার থেকে তারা আজও অনেক বঞ্চিত। বিভিন্ন বৈষম্য-বঞ্চনারও শিকার হতে হয় তাদেরকে। আমাদের দেশে এখনও অনেক পিতামাতা কন্যাশিশুকে বোঝা হিসেবে গণ্য করে। তারা মনে করে পুত্র বড় হয়ে বাবা-মাকে উপার্জন করে খাওয়াবে, সংসারের হাল ধরবে। অন্যদিকে কন্যা বিয়ের পর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ি চলে যাবে, উপরন্তু তাকে বিয়ে দিতে গিয়ে পিতামাতাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। এই মনোভাব থেকেই তারা পুত্রসন্তানকে কন্যাসন্তানের চেয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়। যদিও বর্তমানে অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে মেয়েরাও ছেলেদের মতো সমানভাবে বাবা-মা, পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসছে। একইভাবে নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিরও ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটছে। তবে সমাজে নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে অনেকেই এখনও প্রস্তুত নয়। আমাদের সংবিধানে, সরকারি বিধিবিধানে নাগরিক হিসেবে নারীকে পুরুষের পাশাপাশি সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। চাকরি বা অন্যান্য পেশা এবং মজুরির ক্ষেত্রেও তাদের অধিকার সমান। কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। পরিবারে ও সমাজে তারা নানা রকম বৈষম্য-বঞ্চনার শিকার হয়। ছেলে-সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে পরিবার যতটা আগ্রহ দেখায়, মেয়েদের বেলায় তা দেখায় না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভালো ছাত্রী হয়েও মেয়েরা অনেক সময় প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের বেশি পড়ালেখার সুযোগ পায় না। এছাড়া নারীদের উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের ঘটনা তো আছেই।

কাজ- ১: সমাজে নারীর ভূমিকা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা আলোচনা কর।
common.content_added_by

বাংলাদেশে নারী অধিকারসমূহ ও নারী অধিকারের গুরুত্ব (পাঠ ৫)

128
128

বাংলাদেশে নারী অধিকারমূহ

  • সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার।
  • জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অধিকার।
  • আইনের চোখে নারী-পুরুষ সমান এবং সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
  • বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ কিংবা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে সকলের সমান সুযোগ লাভের অধিকার।
  • সরকারি চাকরি লাভে নারী-পুরুষের অধিকার সমান এবং এক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।
  • নারীর ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার।

বাংলাদেশে নারী অধিকারের গুরুত্ব

বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হলো নারী। সমাজের এই বৃহৎ অংশকে পিছনে ফেলে বা অধিকারবঞ্চিত করে কোনো অবস্থাতেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সমাজের নারী ও পুরুষকে এক গাড়ির দুটি চাকার সাথে তুলনা করেছেন। দুটি চাকা সমানতালে না চললে গাড়ি যেমন থেমে যাবে তেমনি সমাজের একটি অংশ (নারী) যদি পিছিয়ে থাকে তবে সমাজ উন্নয়নের চাকাও পিছিয়ে যাবে। নারী শুধু মা, বোন, কন্যা, ভাবি, চাচি, ফুফু, খালা, নানি, দাদিরই ভূমিকা পালন করেন না বরং পুরুষের পাশাপাশি সংসার পরিচালনার গুরুদায়িত্বও পালন করেন। এর অতিরিক্ত সন্তান লালন-পালনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও নারীকেই করতে হয়। নারী শুধু গৃহস্থালি কর্মসম্পাদনে সনাতনী ভূমিকাই পালন করছেন না। বরং উপার্জনক্ষম কাজও করছেন।

গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা সর্বত্রই তারা দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। গোটা নারীসমাজকে যদি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চলাফেরা, মত প্রকাশের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তবে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। এতে পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়ন হবে এবং নারীরা মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা পরিবার ও সমাজের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রাষ্ট্রগঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

কাজেই দেশসেবা, তথা রাষ্ট্র ও বিশ্বের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য নারী অধিকার একান্ত অপরিহার্য। নারীর অধিকার সংরক্ষণ ও সর্বক্ষেত্রে তাকে অগ্রগামী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্যই নারী অধিকারের বিষয়টি আজ এতবেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একজন শিক্ষিত, স্বাবলম্বী ও সচেতন নারী ঘরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। আর এ জন্য নারীরা যাতে তাদের অধিকারগুলো পরিপূর্ণরূপে ভোগ করতে পারে এবং নিজেদেরকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য নারী অধিকারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফরাসি সেনাপতি ও রাষ্ট্রনায়ক নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নারী অধিকারের বিষয়টি তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তির মাধ্যমে বুঝাতে চেয়ে তিনি বলেছেন, 'আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি সভ্য, শিক্ষিত জাতি উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিব।' এ থেকেই আমরা নারী অধিকারের গুরুত্ব বুঝতে পারি।

কাজ: বাংলাদেশে নারী অধিকারসমূহ লিখ।
common.content_added_by

বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুপারিশ বা পদক্ষেপসমূহ (পাঠ ৬)

53
53

বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদেও নারীর এই সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। এখানে সমানাধিকার বলতে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে অর্থাৎ জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অধিকারের কথা বোঝানো হচ্ছে। শুধু ভোট প্রদান বা নির্বাচনে দাঁড়াবার সুযোগের বেলায়ই পুরুষ ও নারী যে সমান তা নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা, চাকরি বা কর্মসংস্থান, বেতন বা মজুরি সব ব্যাপারেই নারী ও পুরুষ সমান সুযোগ লাভের অধিকারী। কোনো অবস্থায়ই নারীর প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না।

নারীর প্রতি বৈষম্য দূর ও তার সমানাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কতগুলো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। যেমন-উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ ও তাদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা। সন্তানের পরিচয় নির্ধারণে পূর্বে যেখানে শুধু বাবার নাম লেখার নিয়ম ছিল, বর্তমানে সেখানে মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নারী নির্যাতন ও অ্যাসিড সন্ত্রাস রোধে সরকার কঠোর আইন প্রবর্তন করেছে। কর্মস্থলে নারীর মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থার কিছু ফল নারীরা পেতে শুরু করেছে। তবে সমাজে শিক্ষার বিস্তার ও সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া অবস্থার পুরোপুরি পরিবর্তন হয়তো ঘটবে না। কিন্তু বাংলাদেশের নারীরা যে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে সেটা স্পষ্ট। বিভিন্ন সভা-সমিতি-সংগঠনে তাদের অংশগ্রহণই তার বড়ো প্রমাণ।

কাজ- ১: আমাদের সমাজে নারীর অধিকার অর্জনের পথে প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিত কর।
কাজ-২: নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের অবস্থার উন্নয়নে সরকারের গ্রহণ করা কয়েকটি পদক্ষেপের উল্লেখ কর।
common.content_added_by

অনুশীলনী

50
50

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

১. বাংলাদেশে সরকারি চাকরি থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স কত?
ক. ৫৭ বছর
খ. ৫৯ বছর
গ. ৬০ বছর
ঘ. ৬৫ বছর

২. আমাদের সমাজে প্রবীণদের সমস্যার কারণ-
i তাদের উপার্জনের সামর্থ্য নেই
ii সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
iii সমাজে নৈতিক শিক্ষার অবনতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
গ. ii ও iii
খ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
রোজিনা তার স্বামীকে ছেলেমেয়েদের জন্য খেলনা আনতে বলেন। বাজার থেকে তার স্বামী ছেলের জন্য ক্রিকেট বল ও ব্যাট এবং মেয়ের জন্য পুতুল ও হাঁড়ি-পাতিল কিনে আনলেন।
৩. রোজিনার স্বামীর খেলনা ক্রয়ের ঘটনা ছেলে-মেয়ের প্রতি যে ধরনের আচরণের প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-
i. অর্থনৈতিক বৈষম্য
ii. দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য
iii. আদরের পার্থক্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. ii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

8. উক্ত বৈষম্যের কারণে শিশুর কোন দিকটি অধিক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে-
ক. নিরাপদে বেড়ে ওঠা
গ. স্বাস্থ্য সুরক্ষা
খ. শিক্ষা গ্রহণ করা
ঘ. সঠিক মানসিক বিকাশ

সৃজনশীল প্রশ্ন

১. স্বামী এবং তিন সন্তান নিয়ে হাফিজার সংসার। স্বামীর একক আয়ে তার সংসার চলে না। সংসারের অভাব পূরণে হাফিজা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেয়। সপ্তাহ শেষে মজুরি গ্রহণের সময় মালিক তাকে দৈনিক ৩০০ টাকা হারে মজুরি দেয়। অথচ একই কাজের জন্য পুরুষ শ্রমিকদের ৪০০ টাকা হারে দৈনিক মজুরি দেয়। সে এর প্রতিবাদ করলে মালিক তাকে কাজে আসতে নিষেধ করে।
ক. বেগম রোকেয়া নারী ও পুরুষকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
খ. সংসার-জীবনে নারীর প্রধান ভূমিকা বর্ণনা কর।
গ. হাফিজা কোন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. হাফিজার মতো নারীদের অধিকার আদায়ে করণীয় বিষয়ে মতামত দাও।

২. ৭০ বছরের ছিদ্দিকা খাতুনের ইচ্ছা করে পুরানো দিনের গল্প করতে কিন্তু তাঁর ছেলে মেয়েদের গল্প শোনার সময় নেই। এমন কি তাঁর নাতনীর বিয়ের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় না। পাশের বাড়ির জোবেদা বেগম ছিদ্দিকা খাতুনের ছেলে মেয়েদের বলেন, তোমাদের উচিত তোমার মায়ের খাবার ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখা। তাঁকে মাঝে মাঝে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।
ক. প্রবীণ কারা?
খ. বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতির প্রবীণদের ক্ষেত্রে কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।
গ. ছিদ্দিকা খাতুনের সমস্যাটা কোন ধরনের সমস্যা- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ছিদ্দিকা খাতুনের ক্ষেত্রে জোবেদা বেগমের পরামর্শ তুমি কি সঠিক বলে মনে কর? তোমার মতামত দাও।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion